পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের নিমহাওলা, উলানিয়া, রতনদী তালতলী ইউনিয়নের বন্যাতলী হতে উলানিয়া বন্দরের সড়কপথের স্লুইসগেটের বেহাল দশা!
সরেজমিনে দেখা যায়, স্লুইসগেটের কপাট ভেঙ্গে দুমরে মুচরে পরে আছে দীর্ঘ দিন যাবৎ। স্থানীয় কৃষক ও জনধারণ বিভিন্ন গাছ দিয়ে স্লুইসগেটটি রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কাজের কাজ রক্ষা হচ্ছে না।
কিছুদিন পূর্বের আকস্মিক বন্যা আর জোয়ারের পানিতে হু হু করে প্রবল বেগে পানি প্রেবেশ করতে দেখা যায়। এর ফলে ইরি মৌসুমের আবাদী চাষের ব্যাপক ক্ষতির মধ্যে নিমহাওলা ও রতনদী এলাকার প্রায় দুই থেকে তিন শত হেক্টর জমির বীজ।
স্থানীয় কৃষক মোঃ ঝন্টু হাওলাদার, মোঃ মজিবুর কাজী, মোঃ নেছার হাওলাদার, আবুবকর সিদ্দিক মিয়া, আতলাফ হোসেন গাজী সহ বিভিন্ন কৃষকরা জানান, আমাদের এলাকায় জমিতে চাষাবাদের পানি নিষ্কাশনের জন্য এটি একমাত্র স্লুইসগেট। যা দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে অবহেলিত ভাবে পরে আছে। এ ব্যাপারে কেউ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ জাকির হোসেন ও মোঃ জসিম উদ্দিন প্রতিবেদককে জানান, এলাকায় প্রায় ৮৫ ভাগই কৃষক। পানি জমে থাকার কারনে কৃষি আবাদী জমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছ। এবিষয়ে গলাচিপা উপজেলা কৃষি অফিসে ব্যক্তিগতভাবে আমি যোগাযোগ করেছিলাম কিন্তু আশার বানি ছারা কিছুই মিলেনি।
রতনদী তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষিকা নার্গিস সুলতান জানান, স্লুইসগেটটির বেহালদশার কারনে আমাদের কৃষি আবাদী জমি সহ রাস্তটি হুমকির মধ্যে। অতিদ্রুত সংস্কার না হলে আগামীতে বিভিন্ন স্কুল কলেজর শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগের শেষ হবে না।
এবিষয়ে রতনদী তালতলী ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, ১,২ ও ৩ টি ওয়ার্ডে মোট ২৫০ হেক্টর জমিতে এবার আমন চাষাবাদ হচ্ছে। উপজেলা বিএ,ডি,সি অফিসে বেশ কিছু কালভার্ড, স্লুইসগেটের বিষয়ে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। কিন্তু কোন কিছুই হচ্ছে না।
এব্যাপারে গলাচিপা উপজেলার বিএডিসি এর ইউনিট অফিসার বিশ্বজিৎ শিকদার বলেন, স্লুইসগেটটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নয়। পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড করেছিলো। তার পরেও আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষে জানানো হবে। আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা নিবেন।